নিজস্ব প্রতিবেদক ::
ঈদের টানা ছুটিতে কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকতে দেশি-বিদেশি পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়। তাদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।
আয়নার মতো স্বচ্ছ পানি, কোরালের ছড়াছড়ি আর পড়ন্ত বিকেলে সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য নজর কেড়েছে পর্যটকদের। আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃত দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের লীলাভূমি ইনানী সমুদ্র সৈকতে যেন পর্যটকদের আনন্দ ভ্রমণে যোগ করেছে ভিন্নমাত্রার প্রফুল্লতা।
ইনানী সৈকতের অদূরেই রয়েছে মন মাতানো প্রশান্তিদায়ক পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকত। পাটুয়ারটেক সৈকতের একটু পূর্বে পাহাড়ের নিচে ঐতিহ্যঘেরা রহস্যময়ী কানা রাজার গুহা।
কানা রাজার গুহার পাশেই স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক ফইল্লা চাকমার মাচাং ঘর। সেটি দেখতে উৎসুক থাকে পর্যটকরা। পশ্চিমে বিস্তীর্ণ নান্দনিক সমুদ্রের ঢেউ, পূর্বে উঁচু পাহাড়, তার মাঝেই ইনানী সমুদ্র সৈকত। জনশ্রুতি রয়েছে, এক সময় ইনানী সৈকতের জলরাশি ও ঢেউয়ের নৈপুণ্যতা প্রদর্শনী আর প্রকৃতির দৃশ্য উপভোগ করে সময় কাটাতেন বঙ্গবন্ধু।
সরজমিনে জানা গেছে, দেশি-বিদেশি পর্যটকরা কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনের চেয়ে ইনানী সমুদ্র সৈকতে অবকাশ যাপন ও দর্শনে অধিকতর সময় ব্যয় করতে চাইলেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও আবাসিক হোটেল-মোটেল না থাকায় তাদের কক্সবাজারে ফিরে যেতে হয়।
সিলেট থেকে আসা পর্যটক দম্পতি সাইফুল ইসলাম ও রেহেনা বেগম বলেন, ইনানী সৈকতে কক্সবাজারের চেয়ে স্বচ্ছ নীলাভ পানি, অসংখ্য কোরালের ছড়াছড়ি, সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য ও সমুদ্র ঘেঁষা পাহাড়। যার কারণে পর্যটকরা এখানে বেশি আনন্দ উপভোগ করতে পারে।
ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে ভ্রমণে আসা পর্যটক আমিনুর রশিদ বলেন, লম্বা ছুটি থাকায় পবিত্র ঈদুল আযহার আনন্দ ভাগাভাগি করতে আমরা এখানে বেড়াতে এসেছি। ইনানী সমুদ্র সৈকত তথা কক্সবাজারের মনোরম পরিবেশ দেখে খুব ভালো লেগেছে।
পাঠকের মতামত: